১৪ এপ্রিল রাতে এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তার আগে ১৮ জনকে মূল দলে আর ৬ জনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রেখে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। যেখানে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন দুই খেলোয়াড়-ওবায়দুল হোসেন ও আবেদ উদ্দিন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি কুপার টেস্টে অংশ নেন ৫৭ জন খেলোয়াড়। সেখান থেকে বাছাইকৃত ৪৫ খেলোয়াড় নিয়ে এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে শুরু হয় জাতীয় হকি দল গঠন প্রক্রিয়া। কয়েক দিন ক্যাম্প করার পর ৫ মার্চ ৩৩ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। সেটা কমিয়ে ২৪ জন করার পর আজ চূড়ান্ত স্কোয়াড দিয়েছেন কোচ আ ন ম মামুন উর রশিদ।

যত দূর জানা গেছে, স্ট্যাডবাই হিসেবে থাকা ৬ জন ছাড়াই ইন্দোনেশিয়া মিশনে যাবে বাংলাদেশ। ইনজুরি বা অসুস্থতাজনিত কারণে মূল স্কোয়াডের কেউ খেলতে না পারলে তখন স্ট্যান্ডবাই থাকা খেলোয়াড়দের কাজে লাগানো হবে।

১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হবে এএইচএফ কাপ, যা একই সঙ্গে এশিয়া কাপের বাছাইপর্বও। এই প্রতিযোগিতার শেষ চার আসরের শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ। তাই এবারও তাদের লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা।

এ মিশনে থাকছেন না দেশের হকির তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ। হকি ফেডারেশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৩২ বছরের কেউ জাতীয় দলে খেলতে পারবেন না। বয়সের এই নিয়মের মধ্যে পড়ায় বাদ পড়ে যান তিনি। আর ৩৩ জন থেকে স্কোয়াড ২৪ জনে নামিয়ে আনার পথে বাদ পড়েন সাবেক অধিনায়ক সারওয়ার হোসেন ও মিলন হোসেন।

আরও পড়ুনমিরাজের কাছে জিম্বাবুয়ে সিরিজও ‘কঠিন’ যে কারণে৪২ মিনিট আগে

এএইচএফ কাপের সপ্তম আসরে পুল ‘বি’ তে থাকা বাংলাদেশের চার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও কাজাখস্তান। ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৮ এপ্রিল কাজাখস্তানের বিপক্ষে। প্রিলিমিনারি রাউন্ড এবং স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শেষে ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

১৮ জনের দলে যাঁরা আছেন

হুজাইফা হোসেন, রেজাউল করিম, সোহানুর রহমান, ফরহাদ আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, আবেদ উদ্দিন, নাইম উদ্দিন, আল নাহিয়ান, রোমান সরকার, ফজলে হোসেন, পুস্কর ক্ষিসা (অধিনায়ক), আরশাদ হোসেন, ওবায়দুল হোসেন, রাকিবুল হাসান, মাহবুব হোসেন, বিপ্লব কুজুর ও আবু সাঈদ।

স্ট্যান্ডবাই ৬ জন

মেহরাব হোসেন, প্রিতম রায়, মেহেদী হাসান, নুরুজ্জামান নয়ন, তৈয়ব আলী ও মাইনুল ইসলাম।

আরও পড়ুন১৫ বলে ফিফটি করে যত রেকর্ড পারভেজ হোসেনের১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া