ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে চারটি পর্যায়ে কাজ করছে সরকার: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
Published: 7th, April 2025 GMT
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করতে চায় না। পরবর্তীকালে কখনো যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করা না যায়, সে জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে সরকার চারটি পর্যায়ে কাজ করছে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের এক সেমিনারে এ কথা বলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে যে চারটি পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে, তা উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, প্রথমত সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। এটা এ সপ্তাহের শেষে চূড়ান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিগত সরকারের আমলে কীভাবে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল, তা তাঁরা অনুসন্ধান করেছেন। এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স গাইডলাইনে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তা ছাড়া বিদ্যমান টেলিকম আইনটি পরিবর্তন করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ না থাকে।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেন, গেটওয়ে পর্যায়ে ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। বৃহৎ গ্রাহকদের জন্য আরও ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র আইএসপি পর্যায়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ এবং বড় আইএসপি পর্যায়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব।
তথ্য সুরক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আশা করছেন, মে মাসের শেষে এটি চূড়ান্ত হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ম কম ন ক জ করছ পর য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা/তারেকুর/এস