ফরিদপুরের নগরকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বড় ভাইকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাবা-ছেলে। এ ঘটনায় আহত স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে সদর উপজেলার বাখুন্ডা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত জোয়াদ সরদার (৬৫) ও তার ছেলে ইমান সরদার (৩৫)। তাদের বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের শেখর কান্দি গ্রামে।

বিকেলে শেখরকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মরদেহ দুটি বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাত ভাইয়ের মধ্যে জোয়াদ সরদার মেঝো। 

নিহত জোয়াদের ছোট ভাই আবেদ আলী সরদার জানান, ‘বড় ভাই চান মিয়া সরদার ঈদের পরের দিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতে আজ দুপুরে ভাই জোয়াদ সরদার, ভাতিজা ইমান আলী সরদার ও ভাবী রাবেয়া বেগম ফরিদপুরের উদ্দেশে বাসে রওনা হন। পথে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ভাই ও ভাতিজা নিহত হয়। আহত ভাবীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’  

একই দুর্ঘটনায় নগরকান্দার আরও দুজন নিহত হন। তারা হলেন- উপজেলার সালমা ইউনিয়নের কাঠিয়া কালীবাড়ি গ্রামের রাজিব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪) ও সন্তোষী গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতী সরকার (৪০)।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।

গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’

জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।

জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ