চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভাগ্নিকে (আপন খালাতো বোনের মেয়ে) হত্যার পর খালা-খালুকে গলা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দীন (২৮) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। আহত ২ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী ফারিণ (ছদ্মনাম)। ওইদিন সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিমও খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে ফারিণকে দেখে। ফারিণ নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার গভীর রাতে নাজিম খালার বাড়িতে আসলে ঘরের দরজা খুলে। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে ফারিণ ওয়াশরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে আটক করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ফারিণের মুখের ভিতর কাপড় ঢুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা।

তারা আরও জানান, মেয়েটির চিৎকার শুনে তার নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানলে নাজিম খালা-খালুকেও জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগমকে (৬০) উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ফরিদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। 
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফারিণের লাশ উদ্ধার করে চন্দনাইশ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসা খালার বাড়িতে। মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগ্নি ফারিণকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নানী দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য চ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় যাত্রীদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে মারধরের শিকার স্টেশনমাস্টার
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • জ্বালানির দাম বাড়ল ৯ শতাংশের বেশি
  • ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেলের দামে অস্থিরতা