১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য গণবিজ্ঞাপ্তি জারি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো.

ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠিটি গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বগুড়া পৌরসভার প্রশাসককে। জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার প্রশাসক ও বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি পাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত, আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বগুড়া পৌর এলাকায় সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা বিধিমালা (সিটি করপোরেশন ২০১০–এর বিধি ৬ অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি এবং এলাকার অধিবাসীদের মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তিপূর্বক চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বগুড়াকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে।

বগুড়া পৌরসভা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৪-০৫ সালের দিকে বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রচেষ্টায় বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার উদ্যোগ শুরু হয়। সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করে ২১টি ওয়ার্ডে উন্নীত করা হয়। এর পর থেকে এই উদ্যোগ আর এগোয়নি। ২১ট ওয়ার্ডবিশিষ্ট দেশের অন্যতম বড় এ পৌরসভায় এত দিন বিশেষ কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হলে দীর্ঘদিনের নাগরিক সেবা বঞ্চনার অবসান ছাড়াও শহরের অবকাঠামো এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র ব ভ গ র প রসভ ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগে

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫

নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ