Samakal:
2025-06-15@18:12:15 GMT

কাটা হাত দেখে এগিয়ে মিলল ৩ লাশ

Published: 12th, April 2025 GMT

কাটা হাত দেখে এগিয়ে মিলল ৩ লাশ

রাস্তার পাশে ইট-সুরকির স্তূপ থেকে একটি কাটা হাত বের হয়ে ছিল। সেখানে ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ। হাতটি দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন এক পথচারী। এর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ইট-সুরকি সরিয়ে বস্তা ও কাপড় দিয়ে মোড়ানো তিনটি অর্ধগলিত খণ্ডবিখণ্ড লাশ দেখতে পায় পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন– পোশাককর্মী লামিয়া আক্তার (২২), তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ লাবিব (৪) ও বড় বোন মানসিক ভারসাম্যহীন স্বপ্না আক্তার (৩৫)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে লামিয়ার স্বামী মো.

ইয়াসিনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মিজমিজির পশ্চিমপাড়া পুকুরপাড় এলাকার আখতার হোসেনের বাড়ির পেছনে সড়কের পাশের ইট-সুরকির ভেতরে লাশ তিনটি চাপা দেওয়া ছিল। লামিয়ার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। স্বপ্নার দুই পা হাঁটু থেকে এবং দুই হাত ও মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দুই বোনের লাশ ছিল একসঙ্গে পেঁচানো, আরেকটি বস্তায় ছিল আব্দুল্লাহর লাশ। শিশুটির শরীর অক্ষত। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশের ধারণা, কয়েক দিন আগে তাদের হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সিমেন্টের বস্তা ও কাপড় পেঁচিয়ে ইট-সুরকির নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতের স্বজন জানান, যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, সেখান থেকে আনুমানিক ২৫ গজ দূরে একটি ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে থাকতেন ইয়াসিন। তাঁর স্ত্রী লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মী। ইয়াসিন এলাকার বাসাবাড়িতে চুরি এবং মাদক সেবন করেন। লামিয়ার কাছে মাঝেমধ্যেই টাকা দাবি করতেন তিনি। কিন্তু লামিয়া যা আয় করতেন, তা সংসার চালাতেই শেষ হয়ে যেত। বেকার ইয়াসিন টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করতেন। লামিয়ার প্রতিবন্ধী বোন স্বপ্না তাঁর কাছে থাকতেন। স্বজনের অভিযোগ, ইয়াসিন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। 
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ইয়াসিনকে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘুরতে দেখেন এলাকাবাসী। লাশ উদ্ধারের সময়ও তিনি ছিলেন। লামিয়ার বোন মুনমুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিচয় শনাক্ত করেন। তখন এলাকাবাসী ইয়াসিনকে ধরে পুলিশে দেন। তার বাবার নাম মো. দুলাল। তাদের পৈতৃক বাড়ি ছিল মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায়। তবে বাড়িটি তাঁর বাবা বিক্রি করে দিয়েছেন। এ কারণে ১ এপ্রিল একই এলাকার আখতার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন ইয়াসিন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) তারেক আল মেহেদী জানান, হত্যায় জড়িত সন্দেহে ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 
নিহত স্বপ্না ও লামিয়ার খালা শিরিন বেগম বলেন, ‘আমার বোনের মেয়েরা বাবা-মাহারা। লামিয়া প্রেম করে বিয়ে করেছিল। স্বপ্না মানসিক ভারসাম্যহীন। চার দিন তাদের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। বাসায় তালা দেওয়া ছিল। আজ (শুক্রবার) এসে দেখি তিনজনের লাশ। লামিয়ার স্বামী বখাটে ও মাদকাসক্ত। তাদের প্রায় সময়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো।’ 
মুনমুন জানান, ইয়াসিন ঈদের তিন দিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত। হত্যাকাণ্ডের জন্য ইয়াসিনকে দায়ী করছেন মুনমুন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ইয়াসিন ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত। লামিয়ার কাছে তিনি প্রায়ই টাকাপয়সা চাইতেন। টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিখোঁজ মাঝির লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের পরদিন জাবেদ আহমেদ নামে এক মাঝির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার নদীর বোয়ালখালী হামির চর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। জাবেদ কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শরীফ আলীর ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় জাহাজের সঙ্গে নোঙর করা ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা ছুটে গেলে সেটি আটকাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যান জাবেদ। 

ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
বরিশাল ব্যুরো জানায়, নগরে ছুরিকাঘাতে মাসুদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, গত বুধবার রাতে প্রেমিকা কৌশলে তাঁকে বাসায় ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মাসুদুর নগরের নতুন বাজার টেম্পো স্ট্যান্ড এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাসুদুরের প্রেমিকা ও দুই ভাইকে আটক করে। কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় পরদিন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযাগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র শ ক রব র এল ক র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার