মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদিনের ব্যবধানে আবারো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে একটি ছোট বিমান তিনজন নিহত হয়েছেন। বোকা র‌্যাটোন বিমানবন্দরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, সকাল ১০ টা ২০ মিনিটের দিকে, তিনজন আরোহী নিয়ে একটি সেসনা ৩১০ বোকা র‌্যাটোন বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে তালাহাসি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কিছু সময় পর সেটি বিধ্বস্ত হয়।

আরো পড়ুন:

চীন বাদে সব দেশের ওপর নতুন শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

গাজায় পুনরায় হামলা ইসরায়েলের ‘ভুল’ পদক্ষেপ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি একটি মহাসড়কের ওপর পড়ে আছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।

বোকা র‌্যাটোন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সহকারী প্রধান মাইকেল লাসাল নিশ্চিত করেছেন, দুর্ঘটনায় বিমানটির তিনজনই হয়েছেন। 

এফএএ জানিয়েছে, তারা এবং জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) দুর্ঘটনার আশেপাশের পরিস্থিতি তদন্ত করছে।

দুর্ঘটনার পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বোকা র‌্যাটোনের মেয়র স্কট সিঙ্গার প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি জরুরি সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

বিমান বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট উইলার্ড শেপার্ড সিবিএস নিউজ মিয়ামিকে বলেছেন, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিমানটিকে নিকটবর্তী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করতে দেখেছেন এবং ‘কিছু সমস্যা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আগে বিমানটি বোকা র‌্যাটোন বিমান বন্দরে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, “অবশ্যই, খুব ভয়াবহ কিছু ঘটেছিল এবং বিমানটি সেখানেই বিধ্বস্ত হয়েছিল।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয় আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ব ম ন ব ধ বস ত দ র ঘটন ব ম নট

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ