শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু ১৫ এপ্রিল, মানতে হবে নানা নির্দেশনা, ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ
Published: 13th, April 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি ১৫ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নির্দেশনাবলি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ ইউনিটের র্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীকে এবং পরের দিন তালিকার ৫০১ থেকে ৯৫৫ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৬ এপ্রিলে স্থাপত্যবিদ্যার র্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। পরের দিন ১৭ এপ্রিল বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১ থেকে ২১৫ জন, বাণিজ্য ১ থেকে ৮২ ও মানবিকে ১ থেকে ২৮৪ জনকে ডাকা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবজেক্ট নির্বাচন ও ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীকে সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে; এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ভর্তির জন্য ফি বাবদ ১৭ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ব্লাড গ্রুপের যথোপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ডাকা হবে। এ ছাড়া একাধিক ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো ইউনিটে ভর্তি সম্পন্ন করার পর অন্য ইউনিটে সুযোগ পেলে শুধু বিষয় পরিবর্তন হবে, পুনরায় ভর্তি ফি জমা দিতে হবে না।
আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা, বাকৃবিতে উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, ফল ১৫ এপ্রিল হতে পারে১৬ ঘণ্টা আগেএদিকে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিতে ‘ফি’ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাবিপ্রবি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। বুধবার পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি মাত্রাতিরিক্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অনেক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাধ্যের বাইরে। তাই ভর্তি ফি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। অন্যদিকে, আজ রোববার বেলা একটার দিকে প্রশাসনিক শাবিপ্রবির ভবনের সামনে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন ডেকেছেন একদল শিক্ষার্থী। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫ভর্তির ফি বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফি বেশি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা উঠছে। এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে শিগগিরই আলোচনা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র জন য র ভর ত বর ষ র প রথম ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা বাস এবং শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন ঢাবির ১৭টি বাস রুটে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা। এতে বাস রুট কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণও উপস্থিত ছিলেন।
তরঙ্গ বাস রুটের সভাপতি রাফিন বলেন, “বাস রুট ভিত্তিক চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আগে থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন খাতে বাজেট বাড়িয়ে আরো উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের স্মরণে ঢাবিতে দোয়া মাহফিল
তিনি বলেন, “কিশোরগ্যাংগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয় প্রশাসন তৎপরতা না দেখালে আমরা উত্তরায় লং মার্চ করব।”
ক্ষণিকা বাস রুটের সভাপতি ফারজানা মুন্নি বলেন, “বাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরই আমি প্রক্টর স্যারকে জানায়। তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ক্ষণিকা বাস কমিটির পক্ষ থেকে আমরা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছি। আমাদের জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া এখনো চলমান। আমরা এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাবি শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাবির ক্ষণিকা বাসে স্কুলের বাচ্চা ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা করে। গত ৫ আগস্টের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিতর্ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাবির বাসে হামলা করাটা যৌক্তিক, এটা প্রচার করা হচ্ছে কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কন্টেন্টের ওপর ভিত্তি করে। এ ঘটনা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এ কিশোর গ্যাংগুলোকে পেলে-পুষে বড় করেছে। এদের এখন কোনো অভিভাবক নেই। ফলে এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী