চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কারাবন্দি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে সাবেক এই এমপিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের প্রিজন সেলে তাকে ভর্তি করা হয়। 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার মো.

ইকবাল হোসেন বলেন, সাবেক এমপি নদভী বুকে ব্যথা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোমড় ব্যথাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে রোববার সকালে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এতে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওনার বয়স হয়েছে, তাই অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত তিনি। তবে তেমন গুরুতর কিছু হয়নি। চিকিৎসকরা দেখার পর এমপি নদভীকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তির পরামর্শ দেন। তাই সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ১২ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার ৫ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। আবু রেজা নদভী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেবের কাছে হেরে যান তিনি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ