পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠান বাতিল করল ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী
Published: 13th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে এবারের পহেলা বৈশাখে কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন করছে না প্রয়াত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী’।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. ফকির মাশুক আলমগীর এক বিবৃতিতে জানান, ‘এ বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শিশুপার্কের সামনে আমাদের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’
ফকির আলমগীরপুত্র মাশুক আলমগীর আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এই প্রেক্ষাপটে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠান আয়োজন করা সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না বলে আমরা মনে করি।’
ঋষিজের এই বৈশাখী আয়োজন ‘নব আনন্দে জাগো’ ১৯৮৩ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে। শুধু ২০২০ সালে, করোনা মহামারির কারণে অনুষ্ঠানটি একবার বন্ধ ছিল। সেই বছর বিপ্লবী গান নিয়ে ফকির আলমগীরকে দেখা যায়নি চেনা মঞ্চে।
ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর।
২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ফকির আলমগীর। তবুও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আগ্রহে এবং সংগঠনের প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি চালু ছিল। তবে এবার ব্যতিক্রম। পহেলা বৈশাখে শিশু পার্কের সামনে থাকবে না ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচিত মঞ্চ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব