হবিগঞ্জ শহরের পুরোনো খোয়াই নদী ভরাট হয়ে শায়েস্তানগর, অনন্তপুর ও মাহমুদাবাদ এলাকার কয়েক হাজার পরিবার সমস্যায় পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়। এখানকার পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এক ঘণ্টা বা আধাঘণ্টার বৃষ্টিতে যে পরিমাণ পানি জমে তা নিষ্কাশনে সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। এ সময় সেখানকার প্রতিটি বাড়িতেই হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা প্রায় এক যুগ ধরে প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে থাকলেও পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে একাধিকবার জানালেও তারা সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
পুরাতন খোয়াই নদী-সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনন্তপুর মার্কাজ মসজিদ থেকে শাহজালাল জামে মসজিদ পর্যন্ত অংশ দুই দিকে দখল হয়ে গেছে। এতে করে নদীর এই অংশ খালে পরিণত হয়েছে। খালের সমান জায়গা নদীর অস্তিত্বের জানান দিলেও তাতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরে রাখা হয়েছে। এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত নদীতে ময়লা ফেলছেন। আর এতে করে ওই এলাকার সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এখানকার বাসা-বাড়িগুলো বর্ষা মৌসুমে বেশির ভাগ সময় পানিবন্দি থাকে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নূরুল হক কবির জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরে হাঁটু পানি জমে থাকে। সকালে বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের জন্য রাতভর সেচতে হয়। তাই বাধ্য 
হয়ে বাড়িতে অতিরিক্ত একটি পানির পাম্প কিনেছেন। অনন্তপুর এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, পানিবিন্দ হয়ে থাকা বছরের পর বছর ধরে তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কেন এ বিষয়ে উদাসীন তা আমাদের জানা নেই। মনিরুল হক জানান, টানা খরার পর সম্প্রতি হবিগঞ্জে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় হবিগঞ্জ শহরের কোথাও পানি না থাকলেও শায়েস্তানগর, অনন্তপুর ও মাহমুদাবাদ এলাকাবাসীকে কয়েক ঘণ্টা পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে।
গৃহিণী তামান্না চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতার সময় শিশুদের শোয়ার খাটে বসিয়ে রাখতে হয়। রান্নাঘরে পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি প্রবেশ করে। পানি নেমে যাওয়ার পরও কয়েকদিন দুর্গন্ধ থাকে। বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিন পর পরই এভাবে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়। আসমা খাতুন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। এলাকার প্রতিটি সড়কের পানি লেগে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাসার ভেতরেও পানি প্রবেশ করে। এ নিয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দুর্দশা দেখার কেউ নেই। 
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার সচিব জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, চৌধুরীবাজার এলাকায় পৌরসভার একটি বড় কাজ চলছে। এটি শেষ হলেই খোয়াই নদীর শায়েস্তানগর অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ শুরু হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় স ত নগর এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ