নববর্ষের ঐতিহ্যকে একটি গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
Published: 14th, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশে এবার স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে একটি পরিবার, একটি বিশেষ গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। বহু বছর পর এবার প্রাণের উৎসব হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে অপচেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তৎপর আছে।
আজ সোমবার সকালে চুনারুঘাটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক ও চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সালেহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, গত ১৬-১৭ বছর অবরুদ্ধ পরিবেশে নববর্ষ এসেছে, আবার চলে গেছে। কিন্তু বছরগুলো আমাদের জন্য নতুন কিছু আনতে পারেনি। যারা পরাজিত হয়েছে, তারা অঢেল টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ফলে এখনকার মুক্ত পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিবেশকে যেন আমাদের অসচেতনতার কারণে হারিয়ে না ফেলি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ঐক্যমত্য দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটা জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবি ড.
এদিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রায় লাঠিখেলাসহ নানা প্রতিকৃতি ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এদিকে সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জাতীয় সঙ্গীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে শহরে সার্বজনীন আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে লাঠি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া, হবিগঞ্জ জজকোর্টের পিপি আব্দুল হাই চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, ওসি নুর আলম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেওয়াজসহ অনেকেই। এর বাইরেও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল নববর ষ অন ষ ঠ ন নববর ষ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।