প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশে এবার স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে একটি পরিবার, একটি বিশেষ গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। বহু বছর পর এবার প্রাণের উৎসব হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে অপচেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তৎপর আছে।

আজ সোমবার সকালে চুনারুঘাটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক ও চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সালেহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, গত ১৬-১৭ বছর অবরুদ্ধ পরিবেশে নববর্ষ এসেছে, আবার চলে গেছে। কিন্তু বছরগুলো আমাদের জন্য নতুন কিছু আনতে পারেনি। যারা পরাজিত হয়েছে, তারা অঢেল টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ফলে এখনকার মুক্ত পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিবেশকে যেন আমাদের অসচেতনতার কারণে হারিয়ে না ফেলি।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ঐক্যমত্য দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটা জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবি ড.

নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৬ বছর মুক্তভাবে কথা বলা যেত না। এখন অনেকেই মিলেমিশে চলার কথা বলছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সব অপরাধের ক্ষমা হয় না।

এদিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রায় লাঠিখেলাসহ নানা প্রতিকৃতি ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এদিকে সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জাতীয় সঙ্গীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে শহরে সার্বজনীন আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে লাঠি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া, হবিগঞ্জ জজকোর্টের পিপি আব্দুল হাই চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, ওসি নুর আলম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেওয়াজসহ অনেকেই। এর বাইরেও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল নববর ষ অন ষ ঠ ন নববর ষ পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ

ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ধান্যা লিঙ্গেশ, হিউ কক সিয়াং, ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৫

ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের সম্ভাব্যতার নিয়ে আলোচনা করেন।

সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে অবহিত করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর উদ্যোগে আয়োজিত অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ‘মেকিং ফ্রেন্ড অ্যান্ড স্টেইং রেলিভ্যান্ট: সিঙ্গাপুরস ফরেন পলিসি এক্সপ্লেইন্ড’ শীর্ষক বিশেষ বক্তব্য দেন।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজার সভাপতিত্বে এতে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের বৈদেশিক নীতি ও কূটনৈতিক কৌশলসমূহ তুলে ধরে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি বলেন, “সিঙ্গাপুর বিশ্ব রাজনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বৈশ্বিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। সিঙ্গাপুরের এই সফলতার পেছনে রয়েছে প্রাণবন্ত অর্থনীতি, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সংহতি, বৈশ্বিক বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বিশ্বাসযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অংশীদারিত্বের নীতি।”

 শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি, বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর একযোগে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • ।।  বাংলাদেশি কবিতা বিরল সম্মাননা ।।
  • সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার
  • সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক 
  • ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম
  • জবির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে ৮ বছর ধরে একই চেয়ারম্যান
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
  • দৃশ্যপটে ‘আনন্দ’, মঙ্গল কোথায়
  • যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের