গাজীপুরের মহানগরীর হারিকেন ডেগেরচালা এলাকায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। 

দগ্ধরা হলেন, মো. হারিজ (৫৫) তার স্ত্রী আয়শা খাতুন ও তাদের সন্তান মাইদুল। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর ডেগেরচালা এলাকায় ভাড়া বাসায় হারিজ স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বাসার সবাই সকালে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ওই শব্দের পর আশপাশের লোকজন বের হয়ে দেখেন ৩ জন দগ্ধ হয়েছে। পরে দ্রুত তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। তাদের রুমে কোন সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল ছিলো না, বিদ্যুৎ সংযোগও ঠিক রয়েছে। অথচ বিস্ফোরণে রুমের দরজা, জানালা ভেঙে গেছে। মশারি ও বাচ্চার স্কুলের ব্যাগের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার উপপরিদর্শক কামরুল বলেন, “তিনজন দগ্ধ হয়েছে, তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনো জানা যাচ্ছে না। তাদের রুমের টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুৎ লাইন ঠিক রয়েছে। রুমে  গ্যাসের লাইন ও সিলিন্ডারও ছিলো না। দগ্ধদের সঙ্গে কথা হলে আসল ঘটনা জানা যাবে।”

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ