খুলনায় ওয়াসা কর্মচারীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম, পানি বন্ধের হুমকি
Published: 17th, April 2025 GMT
খুলনা ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম আব্দুল গফফারের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে নগরীতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়াসার শ্রমিক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নুর করিম বলেন, ‘ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বুধবার দুপুরে জি এম আব্দুল গফফারের ওপর হামলা চালায়। দুটি মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ওয়াসা অফিসের কাছে পোর্ট স্কুলের সামনে গতিরোধ করে অস্ত্র প্রদর্শন করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গফফারকে রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ‘খুলনা নগরীতে ওয়াসার ১৮০টি পাম্প ও ৯টি প্লান্ট রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ওয়াসায় কর্মরত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে এসব পাম্প ও প্লান্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সম্মেলনে আরও বলা হয়, ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারী গত ১৫ বছরে বাড়িতে বাড়িতে অবৈধ পানির সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে। তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা গফফারের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সভাপতি কবীর হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক রবিউল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, একরাম হোসেন, আরাফাত হোসেন, এস এ মুকুল প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।