নালা বন্ধ, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা
Published: 17th, April 2025 GMT
সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে রাজবাড়ী শহর। তলিয়ে যায় হাটবাজার। নালাগুলো বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলছে। নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
রাজবাড়ী শহরের রেলগেটের উত্তর দিকে বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। টিনপট্টি, পালপট্টি পেরিয়ে ফলবাজার, চালবাজার, পানবাজার, তরকারিবাজার, মাছবাজার, দুধবাজার, কাপড়বাজার, আড়ৎপট্টি, মুরগিবাজার– সব পাশাপাশি। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে এখানে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়। এতেই এসব বাজারে
পানি জমে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ। দূরদূরান্ত থেকে হাটে আসা গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময় বাজারে রিকশা চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষাকালে তাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে পানি জমে। তখন আর ক্রেতারা দোকানের সামনে দাঁড়াতে চান না। বেচাকেনা যায় কমে। বৃষ্টির পরে সৃষ্টি হয় কাদা। তখন বাজারে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে যায়।
পান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সমর সরকার জানান, বৃষ্টি হলেই তার দোকানের সামনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বাজারের নালাগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ। মুরগিবাজার থেকে টিনপট্টি পর্যন্ত পানি জমে একাকার হয়ে যায়। এই পানিতে ময়লা-আবর্জনাও থাকে। যে কারণে খোসপাঁচড়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
তরকারি ব্যবসায়ী কিয়াম উদ্দিন জানান, তাঁর দোকানের সামনে পানি জমে না। তবে এ দুর্ভোগ তাঁকেও পোহাতে হয়। পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী শহরের নালাগুলোর সঙ্গে নদীর সংযোগ নেই। যে কারণে নালার মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। পৌরসভার একার পক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক