ডিএনসিসি প্রশাসকের গণশুনানিতে দু’পক্ষের মারামারি
Published: 18th, April 2025 GMT
হাতাহাতি থেকে মারামারিতে রূপ নিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসকের গণশুনানি। প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সামনে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের অনিয়মের বিষয়ে কথা শুরু করতেই আরেকজন তাঁর মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে এই হাতাহাতির সূত্রপাত। পরে তা মারামারির পর্যায়ে গড়ায়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গণশুনানির আয়োজন করে ডিএনসিসি। বাসিন্দারা এলাকার নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে থাকেন। প্রশাসকও সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন এবং নোট নেন। পাশাপাশি তাদের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে একজন মাইক্রোফোন নিয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করার পর পরই পাশ থেকে আরেকজন তাতে বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে আবারও বলা শুরু করলেই তার মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-ধাওয়ি, কিলঘুসি। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গণশুনানিতে ভুক্তভোগীরা খেলার মাঠ, পার্ক, রাস্তা, খাল দখলমুক্ত করা, দরিদ্রদের জন্য টিসিবি কার্ড বিতরণের দাবি ছাড়াও ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খাল, মাঠ, পার্ক, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান চলতে থাকবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মোহাম্মদপুর হাইক্কার খালের সব অবৈধ স্থাপনা ও ভবন উচ্ছেদ করা হবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব। অবৈধ দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স ম হ ম মদপ র গণশ ন ন পর য য়
এছাড়াও পড়ুন:
মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।