রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পুরোনো পৌরসভা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে টিসিবির বেশ কিছু পণ্য পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে পৌর সদরের পুরোনো পৌরসভা ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত একটার দিকে পুরোনো পৌরভবন কক্ষে আগুন লাগে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে এর আগেই সেখানে থাকা টিসিবির তেল, মসুরের ডাল ও চাল আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।

পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন জানান, তাঁদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কক্ষের যে জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি ইলেকট্রিক বোর্ড ছিল। আগুনে এক লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে পুঠিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুঠিয়া পৌরসভার প্রশাসক দেবাশীষ বসাক, পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

দেবাশীষ বসাক বলেন, পৌরসভার পুরোনো ভবনে দুটি কক্ষে দুজন ডিলার টিসিবির পণ্য রেখেছিলেন। প্রতিটিতে ৯০০টি করে মোট ১ হাজার ৮০০টি প্যাকেজের পণ্য ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার বেশির ভাগ পণ্য বিক্রি হয়েছে। এসব কক্ষের মধ্যে মাত্র একটিতে আগুন লেগেছে। সেই হিসাবে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রসভ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ