ভাটারায় বাসার সামনে এসে গুলি, হত্যার হুমকির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
Published: 18th, April 2025 GMT
ঢাকার ভাটারায় গাড়িতে এসে বাসার সামনে গুলি ছোড়া, হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় আলিনুর পাভেলকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আলিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ১ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার দিকে আলিনুর পাভেলসহ ১০-১২ জনের একটি দল প্রাইভেট কারে করে ভাটারা থানার জোয়ার সাহারা খাঁ পাড়া এলাকার একটি বাড়ির সামনে আসে। ওই বাড়ির বাসিন্দা মো.
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাশেদুজ্জামানের বাসার সামনে এসে আলিনুর গালিগালাজ করেন। রাশেদুজ্জামানের বাসার সামনে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন তিনি। বাসার ফটকে লাথি মারেন এবং কিছু সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাঁদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় রাশেদুজ্জামান ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলাটি তদন্তকালে ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ বাড়ির আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে। গতকাল রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলিনুরকে গ্রেপ্তার করে। সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব স র স মন আল ন র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।