ভালুকায় অটোরিকশা-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ২
Published: 18th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অপর দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভালুকা উপজেলার নন্দিবাড়ি বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভালুকা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আজগর আলীর ছেলে মো. লাল মিয়া (৩২) এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সুরজত আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৮)।
আহতরা হলেন- ভালুকা পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার তইমুদ্দীন স্ত্রী জোসনা আক্তার (৬৫) ও পূর্ব ভালুকার লাল মিয়া স্ত্রী তাসলিমা (৩৫)। তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্রুতগতির একটি হায়েস কালো রংয়ের মাইক্রোবাস ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দিবাড়ি বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশার চারজন গুরুতর আহত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল হুদা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঢাকা/মিলন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে তিনি শুয়ে আছেন। গতকাল দুপুরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়লে অনেকে জানতে চান, কী হয়েছে অভিনেতার? ছবিটি আসল নাকি শুটিংয়ের? ছবির সূত্র ধরে অভিনেতাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর রাখা হয় নিরাপদ স্থানে। দিবাগত রাত তিনটায় সেখানে যান সমু চৌধুরীর চাচাতো ভাই রাইসুল ইসলাম এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দুই সদস্য সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল। এরপর পুলিশ সবার উপস্থিতিতে সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেয়। এখন এই অভিনয়শিল্পী যশোর সদরের নতুন বাজারের বাসায় বিশ্রামে আছেন। প্রথম আলোকে আজ শুক্রবার দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাইসুল ইসলাম।
রাইসুল জানান, সমু চৌধুরী মাজারভক্ত। কাজ না থাকলে প্রায় সময় তিনি মাজারে যান। এবার ঈদ কাটিয়েছেন যশোরে, মায়ের সঙ্গে। ঈদের ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকার মিরপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন পরিচিত একজনের সঙ্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে যান, এক কাপড়ে।
রাইসুল ইসলাম বললেন, ‘এক কাপড়ে ময়মনসিংহ যাওয়াতে কোনো কারণে পরনের কাপড় ময়লা হয়। সেখানে তাঁর কয়েকজন ভক্তও ছিলেন। ময়লা কাপড় ধোঁয়ার পর তা শুকাতে দিয়ে তিনি গামছা পরে গাছের নিচে ঘুমাচ্ছিলেন। বাসায়ও তিনি সাদামাটাভাবে এভাবেই চলাফেরা করেন, লুঙ্গি ও গামছা পরে থাকেন, কখনো এভাবে রান্নাবান্নাও করেন। মাজারে গামছা পরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কেউ একজন ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এতে তিনি ওই সময়ে মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েন ভাইয়া। তিনি কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ, শারীরিক ও মানসিক—দুইভাবে তিনি ভালো আছেন। আমরা তাঁর কাছে যাওয়ার পর পুলিশের সামনেই বলল, আমার তিন ভাই চলে আসছে, এখন আর কোনো সমস্যা নাই। এরপর আমরা গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যশোরে চলে আসছি।’
ছেলে সমু চৌধুরীর সেলফিতে মা জয়নব চৌধুরী