সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে তাঁদের দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আজ শনিবার সকালে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

মাগুরার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষকেরা আমাদের কাছে একটি প্রস্তাব করেছেন। সেটি হচ্ছে, সহকারী শিক্ষক যখন নিয়োগ হবে, তখন তাঁরা ১২তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। ৪ বছর সফলভাবে চাকরির পর তাঁদের পদোন্নতি হয়ে ১১তম গ্রেড পাবেন এবং প্রধান শিক্ষকেরা পাবেন ১০ম গ্রেড। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে, সরকারে পলিসি মেকারদের (নীতিনির্ধারকদের) কনভিন্স (বুঝিয়ে) করে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা।’

বিধান রঞ্জন রায় বলেন, মামলার জন্য প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন সমস্যা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। তখন প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন হলে অনেক পদ খালি হবে।

এ ছাড়া সারা দেশে বড় সংখ্যক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা প্রায় পাস হয়ে গেছে। বিধিমালা পাস হয়ে গেলেই পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড.

শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অংশীজনদের সঙ্গে যৌথভাবে এ বৈঠকের এ আয়োজন করে মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব উপদ ষ ট সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণা দাবিতে প্রশাসনকে ‘সালাম’

‘২ জুন কি পেলাম? কি পাওয়ার কথা ছিল? সালাম প্রশাসন!’- লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন করতে হবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। 

রবিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিতব্য হতে যাওয়া সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি এজেন্ডাভূক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামীকালের এ সভায় যেকোনোভাবে যেন ডাকসু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো পাশ হয়, সেজন্যই তাদের এমন তোড়জোড়।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে নামাজের কক্ষ নিয়ে বিতর্ক

ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের প্রতিবাদ ডুজার

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, একটি পক্ষ ডাকসু নির্বাচন চায় না এবং এই পক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

অনশনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে শক্তিশালী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী বলার চেষ্টা করছে যে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর আছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে পুরোপুরি সক্ষম নয়; সুতরাং ডাকসু নির্বাচন দেওয়া যাবে না।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব কি কেবল প্রশাসন-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের? কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং হল সংসদে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরাসহ প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ব্যর্থতাগুলো লক্ষণীয়, সেগুলো ঘোচানোর জন্যই ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন।”

তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, ছাত্রলীগ যেভাবে হল নিয়ন্ত্রণ করা, দখলদারিত্ব কায়েম করা, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভিতর ক্ষমতার বলয় তৈরি করত-ঠিক এখনো আমরা এই প্রক্রিয়া দেখছি। আর এই প্রক্রিয়ার যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তারাই মূলত ডাকসু নির্বাচনে বাঁধা দিতে চায়।”

এর আগে, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিন আমিন মোল্লার নেতৃত্বে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থী।

গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ ২ জুনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওয়াদা করলে অনশন ভাঙ্গেন তারা। সে সময় অনশন শেষে ইয়ামিনসহ দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছিল।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ