সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 19th, April 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে তাঁদের দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
আজ শনিবার সকালে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মাগুরার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষকেরা আমাদের কাছে একটি প্রস্তাব করেছেন। সেটি হচ্ছে, সহকারী শিক্ষক যখন নিয়োগ হবে, তখন তাঁরা ১২তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। ৪ বছর সফলভাবে চাকরির পর তাঁদের পদোন্নতি হয়ে ১১তম গ্রেড পাবেন এবং প্রধান শিক্ষকেরা পাবেন ১০ম গ্রেড। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে, সরকারে পলিসি মেকারদের (নীতিনির্ধারকদের) কনভিন্স (বুঝিয়ে) করে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, মামলার জন্য প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন সমস্যা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। তখন প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন হলে অনেক পদ খালি হবে।
এ ছাড়া সারা দেশে বড় সংখ্যক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা প্রায় পাস হয়ে গেছে। বিধিমালা পাস হয়ে গেলেই পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব উপদ ষ ট সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ
দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।
শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী