জিয়া মঞ্চের সভাপতি হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
Published: 20th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জামসেদুল ইসলাম টুটুল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিয়া মঞ্চের সভাপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১ নম্বর হরণী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি হাতিয়া উপজেলা হরণী ইউনিয়ন শাখা জিয়া মঞ্চের ২০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে সভাপতি করা হয়। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মী জানান, জামসেদুল ইসলাম টুটুল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে দলীয় অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা করতেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে বিএনপি'র লোক দাবি করে এবং কিভাবে জিয়া মঞ্চের মত সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল সমকালকে বলেন, তার অসম্মতি সত্ত্বেও তাকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পরে তিনি লিখিতভাবে ওই পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়া তিনি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর কাছে যেতে এবং নৌকার পক্ষে ভোট করতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ স ব চ ছ স বক ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ
নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ