গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ‌মাদক কারবারি সালাউদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৭ পিস ইয়াবা জব্দ হয়। তাকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

পেটের ভেতর ৩৪ পোটলা ইয়াবা

বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যু

সালাউদ্দিন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদার্ত্তী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে।

মাদক কারবারি সালাউদ্দিনকে নিয়ে রবিবার পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম এ ‘এক সালাউদ্দিনের ধ্বংসের পথে পুরো গ্রামের কৃষক-তরুণ’ শিরোনাম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওসি আলাউদ্দিন বলেন, “সালাউদ্দিনের বিষয়ে আমাদের কাছে আগে থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্য ছিল। তাকে নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা  সোচ্চার ছিলেন। কিছু গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। শুধু ভাদার্ত্তী নয়, পুরো উপজেলাতেই আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি।”

তিনি আরো বলেন, “মাদক কারবারিদের কাছে দুটি পথ- হয় ভালো হয়ে সমাজে ফিরে আসা, না হয় এলাকা ছাড়তে হবে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ কালীগঞ্জে মাদক কারবার চালাতে পারবে না।”

থানা সূত্রে জানা গেছে, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা, ইসকন হামলা, মাদক, মারামারিসহ অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় ‘মাদক সম্রাট’ নামে পরিচিত। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাদার্ত্তী গ্রামের কয়েকজন জানান, সালাউদ্দিনের কারণে এলাকার যুবসমাজ মাদকে জড়িয়ে পড়ছিল। সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করায় তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। এলাকাবাসী মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ