বন্দরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 21st, April 2025 GMT
বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৯২৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মনির সরদার (৩২) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ী মনির সরদার সুদূর শরিয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার ডুমসার (বেঁধেপাড়া) এলাকার মৃত জামান সরদারের ছেলে।
ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক ইকবাল অহমেদ দীপু বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং ২৫(৪)২৫।
ধৃত মাদক কারবারিকে উল্লেখিত মামলায় সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে । এর আগে গত রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ১টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী বলেশ্বর পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব ১১-৯৯৪২ নাম্বার বাসে তল্লাশী চালিয়ে উক্ত ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মনির সরদার দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ###
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।