মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার কামারগাঁও এলাকার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে শ্রীনগর থানা পুলিশ। পরে রাত ১০টার দিকে আসামিকে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ কামারগাঁও এলাকার মৃত কাজী ফজলুল হকের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাকিল আহম্মেদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সাহাদাতকে মঙ্গলবার সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দায়ের করা মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম। বর্তমানে তিনি সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীরা কঠোর অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ওই ঘটনার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ সদর থ ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ