তুরস্কের রাজধানী ইস্তান্বুলে একের পর এক ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি কম্পন ৬ দশমিক ২ মাত্রার। দেশটির ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্সি এই খবর নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বুধবার  ১২টা ১৩ মিনিটে অনুভূত হয় সিলিভরি জেলায়। এটি ছিল ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। এরপর একই এলাকায় দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় ১২টা ৪৯মিনিটে। এটি ছিল ৬ দশমিক ২ মাত্রার। আর তৃতীয়টি ছিল ৪ দশমিক ৪ মাত্রার। এটি ১২টা ৫১মিনিটে অনুভূত হয়েছে ইস্তান্বুলের বুয়ুকসেকমেসে এলাকায়। 

এএফএডি আরও জানায়, ইস্তান্বুলের পশ্চিমাঞ্চলে বুয়ুকসেকমেসে এলাকায় পরে আরও তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

শহরের ভবনগুলো এ সময় ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠলে লোকজনকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে লোকজনকে প্রবেশ না করার অনুরোধ করেছে। 

এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করা এবং গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব নিরূপণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া।

ইস্তাম্বুল গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ধ্বংসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো খোঁজখবর নিচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক ভ ম কম প ভ ম কম প দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

১ মাস আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অথচ এসব যন্ত্রগুলো বিভিন্ন দপ্তর, অফিস ও ক্লাস রুমের দেয়ালে ঝুলছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

‎বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। আবারে যেখানে, সেগুলোর বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। চলতি বছরের ২৯ জুন এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

‎ইতিহাস ও প্রত্নতত্ন বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব রকি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ নেই। ঘটনাক্রমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে এই মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থ ঠিকভাবে কাজ না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এগুলো দ্রুত পরিবর্তন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

‎মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সূত্রধর বলেন, “মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রায়ই কাজ করে না বা অল্প সময়ে গ্যাস শেষ হয়ে যায়। ফলে জরুরি অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঘটতে পারে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবন সরাসরি ঝুঁকির মুখে পড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার ঘাটতি একটি বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”

‎‎এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার লোকমান হাকিম বলেন, “এ বিষয়ে টেন্ডার হয়ে গেছে। টেন্ডার কেউ পেয়েছে। কাজের অনুমতি পেলে তারা কাজ শুরু করবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “যারা কাজটা পেয়েছে। তারা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো লাগাবে। কিন্তু এখনো লাগায়নি। আর এটা নিয়মিত কাজের অন্তর্ভুক্ত।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি