ভারতের জন্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরণে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন পর্যটক রয়েছেন। এ ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির বিতান অধিকারী, বেহালার সখেরবাজারের সমীর গুহ এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাঘমুণ্ডি এলাকার মনীশ রঞ্জন মিশ্র।

কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল এই তিনজন ও তাঁদের পরিবার। তবে বন্দুকধারীদের নির্মমতায় ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁদের দেহ।

বিতান অধিকারী ছিলেন আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসের ফ্লোরিডা শাখায় কর্মরত। স্ত্রী সোহিনী ও একমাত্র সন্তানের এখনো ভিসা না হওয়ায় বিতান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে বেড়াতে এসে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে কাশ্মীরে যান। কিন্তু সে ছুটিই হয়ে উঠল তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়।

অন্যদিকে সমীর গুহ ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। স্ত্রী শবরী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।

সমীর গুহের বাড়ি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ