মিছিলে অংশ নেওয়া দুজনসহ বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ শুক্রবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের শুকতাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো.

আবেদ আলী শেখ, ঢাকার রমনা ও হাতিরঝিল থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ পারভিন ওরফে শিমু, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর উত্তর যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ জাকির হোসেন ওরফে সাগর, মিরপুর থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম আর বাদল ও উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মনিরুল ইসলাম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবেদ আলী শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। রাত নয়টার দিকে বাংলামোটর এলাকা থেকে মমতাজ পারভিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের পৃথক দল।

আরও পড়ুন ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার১৭ এপ্রিল ২০২৫

মধ্যরাতে বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার বিভাগের একটি দল। জাকির সম্প্রতি গুলশান এলাকায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এম আর বাদলকে গ্রেপ্তার করে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি দল। একই দিন রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি ডিবির পৃথক দল। তিনি গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনঢাকায় ঝটিকা মিছিলের পর ছাত্রলীগ-আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার২৪ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চার আসামিকে হাজির করা হয়েছে।

এই চারজনসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মোট তিনটি মামলায় ১১ জনকে আজ রোববার সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

আবু সাঈদের মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনা চার আসামি হলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় অন্য দুটি মামলায় আরও সাতজনকে হাজির করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপুলিশের ছররা গুলিতেই আবু সাঈদের মৃত্যু২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আরও পড়ুনপুলিশের বেপরোয়া গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার আবু সাঈদ: জাতিসংঘ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুনগুলিতে ঝাঁঝরা সাঈদের বুক, পুলিশ বলছে উল্টো কথা২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির