জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবির ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। যাঁরা রিফাইন্ড (পরিশুদ্ধ) আওয়ামী লীগকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।

আজ শুক্রবার বিকেলে রামপুরায় এনসিপির গুলশান জোন আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সরোয়ার তুষার এ কথা বলেন।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গুপ্ত হত্যাকারী দলে পরিণত হয়েছে। তাদের সমর্থকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা শেখ হাসিনাকে বর্জন করুন, তাঁর বিচার চান। তাহলে দেশের জনগণ আবারও সমাজে আপনাদের স্থান করে দেবে।’

পুলিশকে উদ্দেশ করে সরোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাইয়ে আপনারা যা করেছেন, তা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকান। আপনাদের নাকের ডগায় আওয়ামী লীগ মিছিল করলে আমরা মনে করতে বাধ্য হব, আপনারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপি হলে কমিশনারদের যেন শাস্তি না দেওয়া যায়, সে বিষয়ে তদবির শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এত ভয় কেন আপনাদের। আপনারা কি আগামী নির্বাচনে কারচুপির চিন্তা করছেন। একটি বিশেষ দলের সঙ্গে ইসির বক্তব্য পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হয়, এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব কি না। এ জন্য আমরা ফ্যাসিবাদী আইন পরিবর্তনের কথা বলেছি।’

বিএনপির উদ্দেশে সরোয়ার বলেন, যাঁরা ৩৬ দিনের সমালোচনা করেন, তাঁরা এটার কারণেই রাজনীতি করতে পারছেন। সুতরাং ৩৬ দিনকে খোঁটা দেবেন না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, সংগঠক ইমরান ইমন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রামপুরার ডিআইটি রোডে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এনস প র আওয় ম আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগে

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫

নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ