ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বির পাশে ইউএনও
Published: 25th, April 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জন্মের পর থেকে ভাত খেতে না পারা সেই রাব্বি ইসলামের (২০) পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও জিল্লুর রহমান। শুক্রবার তাঁকে দেখতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান ইউএনও। এ সময় রাব্বি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গত ১৪ এপ্রিল সমকালে ‘জীবনে কখনও ভাত খাননি রাব্বি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সমকাল ডিজিটালে। প্রতিবেশী বসিরুল ইসলাম আকন্দ ও মতিয়ার রহমান জানান, রাব্বির ভাত না খাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনও তাঁর বাড়িতে এসেছেন।
রাব্বির বাবা রমজান আলীও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, রাব্বির চিকিৎসার বিষয়ে আশস্ত করায় তারা খুশি। ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, রাব্বি ভাত খাননি জানতে পেরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
জানা গেছে, রাব্বির ছয় মাস বয়সে মুখে ভাত দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবার বমি করে ফেলতেন। জোর করে খাওয়ালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর থেকে কখনও ভাত খাননি।
রাব্বির বাড়ি উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। তাঁর বাবা রমজান আলী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। চাল দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি, পায়েস ও শাকসবজিও খেতে পারেন না তিনি।
রাব্বি দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ও গরুর দুধ খেয়েছেন। এখন নুডলস, মাছ, মাংসের তরকারি তাঁর খাবার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউএনও
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস