কানাডায় উৎসবে গাড়ি নিয়ে হামলা, অনেক হতাহতের আশঙ্কা
Published: 27th, April 2025 GMT
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ‘অনেক মানুষ নিহত’ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বলেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভ্যাঙ্কুভারের সড়কে এক উৎসব চলাকালে ভিড়ের মধ্যে একটি গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িচালককে আটক করা হয়েছে। ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পুলিশ বলেছে, গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৮টার একটু পর একজন গাড়িচালক ইস্ট ৪১ অ্যাভিনিউ ও ফ্রেসার স্ট্রিটে একটি উৎসবে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেন। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্ষিক লাপু লাপু উৎসব চলাকালে একদল পথচারী গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল বিভাগের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। মাটিতে পড়ে আছেন হতাহত ব্যক্তিরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু