শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাবির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় কসোভো
Published: 27th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত মি. লুলযিম প্লানা।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর প্রিশটিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কসোভোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষক বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করে তারা দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
আরো পড়ুন:
৫ দাবিতে উপাচার্যকে ঢাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে ঢাবিতে সেমিনার
কসোভো’র রাষ্ট্রদূত মি.
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ঢাকাস্থ কসোভো দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. এনিস শেমাইলি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে মি. লুলযিম প্লানা ঢাবির অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘দ্য রিপাবলিক অব কসোভো টুওয়ার্ডস ইউরো-আটলান্টিক ইন্টিগ্রেশন: রিলেশনস উইথ বাংলাদেশ, এশিয়া, অ্যান্ড দ্য প্রসপেক্টস ফর কো-অপারেশন উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাবির অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মি. লুলযিম প্লানা বলেন, “বাংলাদেশ এবং কসোভোর মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক, একটি সাধারণ সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের চুক্তি। এসব চুক্তি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।”
তিনি বলেন, “বাণিজ্য ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে যৌথ সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বৈত কর পরিহারের ব্যাপারে আরো চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনাধীন রয়েছে। কসোভোর কূটনৈতিক একাডেমি জুনিয়র বাংলাদেশী কূটনীতিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।”
কসোভো বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য কসোভো স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এর মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দু’দেশের মধ্যে স্থায়ী সংযোগ গড়ে তোলা হবে। সব স্তরে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য সহয গ ত ক সহয গ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২২ জুন পাসের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা চাই ২২ তারিখের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করা হোক। আমাদের এখন যেসব সংস্কার কমিটিগুলো রয়েছে তারা যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলো অল্প করেও যদি বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলেও বাজেটে কিছুটা নতুনত্ব আসতো। সংস্কার কমিশনগুলো কি স্রেফ অলঙ্কার হিসেবে রয়েছে নাকি, আমার জানা নেই। আমি চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হোক। এবারের বাজেটে দেখা যাচ্ছে যে সুদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। এটা যদিও বর্তমান সরকারের দোষ না।এটার জন্য আগের সরকারই দায়ী।”
আরো পড়ুন:
নির্দেশনামূলক বাজেট দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: এবি পার্টি
প্রস্তাবিত বাজেট নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন: জিএম কাদের
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বের হতে চায়, এটা তাদের প্রত্যাশা। কিন্তু যেসব মেগা প্রকল্প এখন চলমান রয়েছে, সেগুলোরও একটি পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়ন নাম দিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বিলাসী ও জনগণের জন্য বিপজ্জনক। যেমন-রূপপুর, মাতারবাড়ি, রামপাল, এসব প্রকল্প থেকে সরকারের বের হয়ে আসার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এখন থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিতে পারতো, তা হলো জাতীয় সক্ষমতার উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো। আর এই বিকাশ ঘটানো হলে অনেক কম দামে আমরা গ্যাস পাব, বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি রয়েছে তা আর দিতে হবে না। পরিবেশ বিনাশী কোনো প্রকল্পেও যেতে হবে না সরকারের।”
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “তবে দুঃখজনক যে, বর্তমান সরকার যে বাজেট উপস্থাপন করেছে, তাতে এই ধরনের পরিকল্পনা নেই। বাজেটে আগের ধারাবাহিকতাই দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন শুধু শিরোনামে দেখা যায়, বাস্তবতায় তা হলো জনগণের জীবন বিপণ্নকারী।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন লেখক কল্লোল মোস্তফা, গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ