কানাডায় উৎসবে গাড়ি হামলায় নিহত বেড়ে ১১
Published: 28th, April 2025 GMT
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে ফিলিপাইন সম্প্রদায়ের ‘লাপু লাপু ডে ব্লক পার্টি’র উৎসবে গাড়ি হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ইস্ট ৪১তম অ্যাভিনিউ ও ফ্রেজার স্ট্রিটের কাছের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে এ ধরনের হামলা সন্ত্রাসী কি-না, তা জনমনে প্রশ্ন থাকলেও পুলিশ বলছে, এটা কোনো রাজনৈতিক বা সন্ত্রাসী হামলা নয়। উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গাড়িচালককে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো কানাডায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্পর্শ করেছে কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায়। লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি ক্যালগেরিসহ কানাডার বেশ কয়েকটি বড় বড় নির্বাচনী প্রচারণা বা সমাবেশ স্থগিত করেছেন। যেখানে নির্বাচনের আগের দিন এই সমাবেশ লিবারেল পার্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এনডিপি নেতা জাগমিত সিং বেশ কয়েকটি রেলি স্থগিত করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ মিসিসিগা ফিলিপাইন চার্চে গিয়ে কমিউনিটিকে তার সহমর্মিতা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ‘লাপু লাপু ডে’ উৎসবটি ছিল ফিলিপাইনোদের দ্বিতীয় উৎসব। গত বছর থেকে তারা ২৭ এপ্রিল উৎসবটি পালন শুরু করে। ‘লাপু লাপু ডে’ ফিলিপাইনের ১৬শ শতকের এক আদিবাসী প্রতিরোধ যোদ্ধার নামে আয়োজিত, যিনি স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
কানাডার পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাব অনুযায়ী, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় দক্ষিণ এশীয় এবং চীনাদের পর ফিলিপিনোরা হলো তৃতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়। যেখানে ১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিপিনো বসবাস করে, যা প্রদেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল প ইন
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু