কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে ফিলিপাইন সম্প্রদায়ের ‘লাপু লাপু ডে ব্লক পার্টি’র উৎসবে গাড়ি হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ইস্ট ৪১তম অ্যাভিনিউ ও ফ্রেজার স্ট্রিটের কাছের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে এ ধরনের হামলা সন্ত্রাসী কি-না, তা জনমনে প্রশ্ন থাকলেও পুলিশ বলছে, এটা কোনো রাজনৈতিক বা সন্ত্রাসী হামলা নয়। উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গাড়িচালককে আটক করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুরো কানাডায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্পর্শ করেছে কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায়। লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি ক্যালগেরিসহ কানাডার বেশ কয়েকটি বড় বড় নির্বাচনী প্রচারণা বা সমাবেশ স্থগিত করেছেন। যেখানে নির্বাচনের আগের দিন এই সমাবেশ লিবারেল পার্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এনডিপি নেতা জাগমিত সিং বেশ কয়েকটি রেলি স্থগিত করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ মিসিসিগা ফিলিপাইন চার্চে গিয়ে কমিউনিটিকে তার সহমর্মিতা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ‘লাপু লাপু ডে’ উৎসবটি ছিল ফিলিপাইনোদের দ্বিতীয় উৎসব। গত বছর থেকে তারা ২৭ এপ্রিল  উৎসবটি পালন শুরু করে। ‘লাপু লাপু ডে’ ফিলিপাইনের ১৬শ শতকের এক আদিবাসী প্রতিরোধ যোদ্ধার নামে আয়োজিত, যিনি স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।

কানাডার পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাব অনুযায়ী, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় দক্ষিণ এশীয় এবং চীনাদের পর ফিলিপিনোরা হলো তৃতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়। যেখানে ১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিপিনো বসবাস করে, যা প্রদেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল প ইন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক