বৃত্তি নিয়ে যারা বাইরে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য ৭টি বৃত্তিতে আবেদনের সুযোগ আছে। আগামী ২ দিন সুযোগ আছে এসব বৃত্তিতে আবেদনের। এসব বৃত্তিতে অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, আমেরিকা, পাকিস্তান ও ভারতে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে। এসব বৃত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে পড়াশোনা করা যাবে। কাড়ি কাড়ি অর্থের পাশাপাশি মিলবে নানা সুযোগ। এই সাতটি বৃত্তিতে আবেদন শেষ হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে। এসব বৃত্তিতে আবেদনের পদ্ধতি, সুযোগ–সুবিধাসহ বিস্তারিত দেখুন নিচে—

১.

আইডিবি মুসলিমদের দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ—
আর্থিক কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া দরিদ্র মুসলিম যুব সমাজকে দক্ষ ও পেশাদার পর্যায়ে উন্নীত করাই আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। থাকা-খাওয়াসহ সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে মিলবে ট্রেনিং, প্রশিক্ষণের সময় মেল মাসিক ৫০০ টাকা হাতখরচ। ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সীরা আবেদন করতে চাইলে এখানে ক্লিক https://apply.isdb-bisew.info/ করুন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৪ ঘণ্টা আগে

২. অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন—
অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের যে যে বৃত্তি দেয় সেগুলোর মধ্য অন্যতম একটি অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ। অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এ বৃত্তি পেলে স্বাস্থ্য, ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশ, সাসটেইনেবিলিটি, ট্রেড, পাবলিক পলিসি, অর্থনীতি, গভর্ন্যান্স, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্লু ইকোনমিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়া যাবে দেশটিতে। ২০২৫ সালের জন্য বিশ্বের ৫৫ টি দেশের ১ হাজার ৫৫১ জন অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?২৮ এপ্রিল ২০২৫বৃত্তি নিয়ে স্লোভেনিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিবরে আইইউবির চার শিক্ষার্থী

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এসব ব ত ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ