শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone.
এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি।
২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।
ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’
প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনফ ল ড
এছাড়াও পড়ুন:
এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
নিজেকে বা জীবনকে ফিরে দেখার প্রবণতা মানুষের চিরন্তন। কেমন হতো, যদি ফেলে আসা মুহূর্তগুলো দেখা যেত ভিন্ন দৃষ্টিতে। এই অপূরণীয় আকাঙ্ক্ষা সম্ভব শুধু গল্প–সিনেমায়। সেটাই হয়েছে ‘উৎসব’ সিনেমায়। রুপালি পর্দায় সিনেমাটি দেখতে দেখতে কাহিনির নানা উপাদানের মাধ্যমে দর্শকেরা যেন চলে গেছেন নিজেদের রেখে আসা সময়ে। সিনেমার গল্পের সঙ্গে না মিললেও দর্শকেরা নিজের অজান্তেই চলে গেছেন নিজের সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনায়। প্রেক্ষাগৃহে ‘উৎসব’ সিনেমাটি দেখে এমন অনুভূতিগুলোই ভালো লাগা দিয়েছে দর্শকদের। রিভিউ, প্রতিবেদনগুলোতে এমনটাই জানিয়েছেন দর্শকেরা।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘উৎসব’ ৭ সপ্তাহ ধরে চলছে দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। দর্শকদের কাছে এখন পরিচিত নাম ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটির কথা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচকানাচে, প্রবাসী বাংলাভাষীদের কাছে। দর্শকেরা তাই সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘উৎসব’।
চরকি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ৬ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট (৭ আগস্ট) থেকে সিনেমাটি চরকিতে দেখতে পারবেন দেশ–বিদেশের দর্শকরা। এখানেই শেষ নয়, আছে আরও চমক। ৬ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে (৭ আগস্ট) চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তান্ডব’ প্রেজেন্টেড বাই সেনসেশন কনডম।
‘উৎসব’ সিনেমার পোস্টার থেকে। প্রযোজনা সংস্থার ফেসবুক থেক