ভবনের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল গাড়ি, চালক অক্ষত হলেও নিহত ৪
Published: 29th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একটি গাড়ি দ্রুত বেগে একটি ভবনের ভেতর ঢুকে পড়লে শিশুসহ চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যে ভবনটিতে গাড়ি ঢুকে পড়েছিল, সেটি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
পুলিশ বলেছে, ওয়াইএনওটি আফটার স্কুল ক্যাম্পে ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বয়স ৪ থেকে ১৮ বছর।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকেলে ইলিনয়ের চ্যাথাম গ্রামে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ভবনটির এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। কেউ ইচ্ছা করে এ কাজ করেছেন, নাকি এটি দুর্ঘটনা ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইলিনয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। গাড়ির ধাক্কায় মারা পড়া তিনজনের মৃতদেহ ভবনের বাইরে পড়ে ছিল। আরেকটি মৃতদেহ ভবনের ভেতরে পাওয়া গেছে।এ ঘটনার পর হতাহতদের অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইলিনয় অঙ্গরাজ্য পুলিশ বলেছে, গাড়িচালক অক্ষত আছেন। তবে পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইলিনয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। গাড়ির ধাক্কায় মারা পড়া তিনজনের মৃতদেহ ভবনের বাইরে পড়ে ছিল। আরেকটি মৃতদেহ ভবনের ভেতরে পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইলিনয়ের গভর্নর জে বি প্রিটজকার বলেছেন, তাঁর প্রশাসন থেকে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগেবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে