দোকানের বারান্দায় পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর লাশ
Published: 30th, April 2025 GMT
রাজবাড়ী শহরের পাবলিক হেলথ মোড় থেকে রুবেল সরদার নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাবলিক হেলথ মোড়ে জামান স্টোর নামে একটি দোকানের বারান্দা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুবেল সরদার রাজবাড়ী রাজবাড়ী শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর কাহারপাড়া গ্রামের মৃত আলম সরদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেল সরদার পাবলিক হেলথ মোড়ে পান-সিগারেটের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। ছয় মাস আগে দোকানটি তিনি বিক্রি করে দেন। তারপর থেকে কোনো স্থায়ী কর্মে যুক্ত ছিলেন না। মাস তিনেক আগে তার সঙ্গে তার স্ত্রী ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে যায়।
জামান স্টোরের মালিক শাহিদুজ্জামান শাহীন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় হচ্ছিল। একারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। সকালে এসে শোনেন তার দোকানের সামনে রুবেলের মরদেহ পড়ে আছে।
নিহতের ছোট ভাই জুয়েল সরদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আমি ভাইকে বাড়িতে দেখেছি। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। কখন সে বাড়ি থেকে বের হয়েছে, বুঝতে পারিনি। সকালে শুনি ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তার নাকে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নিহতের স্ত্রী বন্যা বেগম জানান, তার স্বামী ঠিকমতো কাজ করতেন না। এজন্য একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিন মাস ধরে বাবার বাড়ি থাকছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সে তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি গিয়েছিল। মেয়ের জন্য অনেক খাবার কিনে নিয়ে যায়। একটু পরে সেখান থেকে চলে আসে। সকালে শোনেন সে মারা গেছে। ২০১৯ সালে তার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। তখন ফরিদপুরে নিয়ে চিকিৎসা করাই। পরে আরও দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র র মরদ হ ল সরদ র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।
ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।