কাপ্তাই হ্রদের ‘দ্বীপে’ রিসোর্ট-কটেজ, টানছে পর্যটক
Published: 30th, April 2025 GMT
স্বচ্ছ নীল জলের ওপর চলছে নৌকা। জেলেরা ব্যস্ত মাছ শিকারে। পাশেই পানকৌড়ি ও গাঙচিলের ওড়াউড়ি। এ মনোরম দৃশ্য রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের। হ্রদের বুকে জেগে থাকা ‘দ্বীপে’ বসেই এসব দৃশ্য এখন উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকেরা।
দ্বীপ বলা হলেও এসব মূলত ডুবে থাকা ছোট ছোট পাহাড়-টিলা। কাপ্তাই হ্রদে এ ধরনের অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, যেখানে গড়ে উঠছে পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ। এরই মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। জেলায় আসা পর্যটকদের কাছে সময় কাটানোর অন্যতম প্রিয় স্থান হয়ে উঠছে এসব রিসোর্ট-কটেজ।
পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০২ সালে রাঙামাটি শহরের কাছেই কাপ্তাই হ্রদের বুকে ‘পেদা টিং টিং’ নামের একটি রেস্তোরাঁ চালু হয়। রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ২০০৫ সালে রাঙামাটি-লংগদু-বরকল ও জুরাছড়ি নৌপথ ঘেঁষে কাউন্দ্যামূখ এলাকায় ‘চাং পাং’ নামে আরেকটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়। এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে রেস্তোরাঁ-রিসোর্ট গড়ে উঠতে শুরু করে। তবে গত সাত থেকে আট বছরের মধ্যে দ্বীপকেন্দ্রিক রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
রাঙামাটি বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ কাপ্তাই হ্রদ। এখন দিনভর ঘোরাঘুরি পর হ্রদের বুকে জেগে থাকা দ্বীপে রাত কাটাতে পেরে পর্যটকেরাও খুশি। দ্বীপের রিসোর্টের বাইরে হ্রদে রাত কাটানোর জন্য রয়েছে হাউসবোটও। দ্বীপের রিসোর্টগুলোতে রাখা হয়েছে তারকা মানের হোটেলের মতোই আরামদায়ক কক্ষ। পর্যটকদের জন্য থাকে বেম্বো চিকেন, বাঁশকোড়ল, কেবাংসহ রকমারি পাহাড়ি খাবারের ব্যবস্থা। কাপ্তাই হ্রদের তরতাজা মাছ তো আছেই। এ ছাড়া নানা বিনোদনের উপকরণ রয়েছে, যার কারণে পর্যটকেরাও ছুটে আসছেন।
দ্বীপের একটি রিসোর্টে দুই পর্যটক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলরত নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করার দায়ে রুবেল (৩০) নামে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদীক। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন।
সৈকতের ফটোগ্রাফার আরিফ মিয়া বলেন, ‘‘রুবেল নারীদের গোসলের ভিডিও করছিলেন। প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি দেখত পেয়ে তাকে আটক করি।’’
অপর ফটোগ্রাফার রাসেল বলেন, “রুবেলের মোবাইল চেক করে দেখি, অনেক ভিডিও। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে খবর দেই। পরে তাদের কাছে সোপর্দ করি।’’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদেক বলেন, “অনুমতি ছাড়া নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণের দায়ে রুবেলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব