চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, মেয়রকে পরিচালকের চিঠি
Published: 30th, April 2025 GMT
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন (র্যাম্প) এলাকায় ঘোরাঘুরি করে কুকুর। এতে প্রায় সময় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন পাইলটরা। কয়েক দফা নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে অভিযোগও দিয়েছেন তাঁর। তবে এখতিয়ার না থাকায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারেননি বিমানবন্দরের পরিচালক। ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানালেন সিটি মেয়রকে।
২১ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনকে চিঠি দিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর। সেখানে কুকুরের উৎপাতের কারণে সুষ্ঠুভাবে অপারেশনাল কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সবশেষ তিন দিন আগে ২৬ এপ্রিলও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অ্যাপ্রোন (র্যাম্প) এবং রানওয়ে–সংলগ্ন এলাকায় কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের পাইলটরা নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে অপারেশনাল কাজ সম্পন্ন করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। তবে আসলে কুকুর তো নিধন করা যাবে না, আমরা টিকা দিয়ে রাখি, যাতে জলাতঙ্কের ঝুঁকি না থাকে। তবে যেহেতু কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে, আমরা পরবর্তী সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই