শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন (র‍্যাম্প) এলাকায় ঘোরাঘুরি করে কুকুর। এতে প্রায় সময় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন পাইলটরা। কয়েক দফা নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে অভিযোগও দিয়েছেন তাঁর। তবে এখতিয়ার না থাকায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারেননি বিমানবন্দরের পরিচালক। ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানালেন সিটি মেয়রকে।

২১ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনকে চিঠি দিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর। সেখানে কুকুরের উৎপাতের কারণে সুষ্ঠুভাবে অপারেশনাল কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সবশেষ তিন দিন আগে ২৬ এপ্রিলও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অ্যাপ্রোন (র‍্যাম্প) এবং রানওয়ে–সংলগ্ন এলাকায় কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের পাইলটরা নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে অপারেশনাল কাজ সম্পন্ন করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। তবে আসলে কুকুর তো নিধন করা যাবে না, আমরা টিকা দিয়ে রাখি, যাতে জলাতঙ্কের ঝুঁকি না থাকে। তবে যেহেতু কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে, আমরা পরবর্তী সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
  • বিএনপির সঙ্গে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
  • নাটক প্রকাশ নিয়ে নিলয়ের ক্ষোভ, যা জানাল দীপ্ত কর্তৃপক্ষ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে ইউটিউবে নাটক প্রকাশ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে নাটক রিলিজ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • চাকরির নামে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
  • বিদেশে চাকরির নামে যুবকদের পাঠানো হতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, চক্রের ‘হোতা’ গ্রেপ্তার
  • ঈদ পুনর্মিলনীর নামে বিএনপির আয়োজনে আ.লীগের মিলনমেলার অভিযোগ