হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মে দিবসের অনুষ্ঠান শেষ ফেরার পথে বেলা ১২টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আবার রাত ১০ টার দিকে তার বাসভবনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে দেশি অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে উপজেলার তিমিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নবীগঞ্জ থানার ওসি মো.

কামাল হোসেন।

হামলার শিকার শেখ সুজাত মিয়া হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সুজাত মিয়া। কর্মসূচি শেষে বাসায় ফিরতে গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন যুবক দেশি অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে সুজাত মিয়া রক্ষা পান বলে জানায় পুলিশ।

খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হামলাকারী সন্দেহে জামিল মিয়াকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আটক যুবকের কাছ থেকে একটি রামদা ও ছুরি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রাতে বাসভবনে আগুনের ঘটনায় তিনি বলেন, এটি তদন্ত করা হচ্ছে। নাশকতা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।

আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।

তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।

বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ