তিন দিন আগেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের কাছে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল আবাহনী লিমিটেড। তবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেই হতাশা ঘোচাতে পারল না ঐতিহ্যবাহী দলটি। আজ কিংস অ্যারেনায় ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে কিংস। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি সময়ে দেখা গেছে হাতাহাতি, যার জেরে তিন খেলোয়াড় দেখেছেন লাল কার্ড।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের প্রথম গোলেই এগিয়ে যায় কিংস। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পান এই তরুণ ফরোয়ার্ড। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দুই দলের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হাতাহাতির ঘটনায় কিংসের সাদ উদ্দিন ও সোহেল রানা এবং আবাহনীর শাহিন সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

অন্যদিকে, কুমিল্লায় মোহামেডান ও পুলিশ এফসির ম্যাচে রোমাঞ্চের কমতি ছিল না। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫২ মিনিটে এমানুয়েল সানডে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন। তবে ৬৫ মিনিটে পুলিশ পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় দানিলোর গোলে। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্রই হতে যাচ্ছে, তখন ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মোজাফফর গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন। ইনজুরি সময়ে সানডে নিজের দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ৩-১ ব্যবধানে।

এই জয়ে মোহামেডান ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট, ফলে কিংসের জয় তাদের শিরোপার লড়াইয়ে আবারও কিছুটা সুবিধা এনে দিল। কিংস বর্তমানে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ