চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে অভিযান চালিয়ে ৩১ হাজার টাকার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলা অংশের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে মো.

মোদ্দাছির(২৫), তাঁর ১৭ বছর বয়সী বোন এবং তাঁদের খালাতো বোন।

এঁদের মধ্যে মোদ্দাছির ইসলামী ছাত্রশিবির উখিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা ছাত্র শিবিরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। প্রথম আলোকে সাইফুল ইসলাম বলেন, মুদ্দাছির উখিয়া উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ডিসেম্বর থেকে তিনি আর কোনো দায়িত্বে নেই।

লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জাল নোটগুলো চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাঁদের ব্যাগ থেকে ১৩টি ১ হাজার টাকার নোট এবং ৩৬টি ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে এবং আজ রোববার দুপুরে তাঁদের চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাবেক তিন মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী থানায় নতুন করে একটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।

গতকাল শনিবার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিয়ালকোলা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ রোববার বিকেলে মামলার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী নূর মোহাম্মদ গত ৮ এপ্রিল গাজীপুর আদালতে হাজির হয়ে মামলাটির আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক মামলার বিষয়ে শুনানি করে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ডের জন্য কোনাবাড়ী থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ছাড়াও সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের নির্দেশে বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব সরকার, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্ত বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হীরা সরকারসহ সাড়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী কোনাবাড়ী এলাকায় হামলা–ভাঙচুর করেন। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের মধ্যে বাদী নিজেও ছিলেন।

কোনাবাড়ী থানার ওসি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আর কোনো মামলা না নেওয়ার নির্দেশ থাকায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি করা হয়েছে। তবে ওই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিরা সবাই পলাতক আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ