সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নজড়কাড়া পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইউপিয়ার গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে আজ রোববার (১১ মে) ‘এ’ গ্রুপের নিজেদের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পা রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র করায় আজকের ম্যাচটি ছিল কার্যত বাঁচা-মরার। জয় না পেলে তাকিয়ে থাকতে হতো গ্রুপের বাকি ম্যাচের ফলাফলের দিকে। তবে কোনো জটিল সমীকরণের অপেক্ষা না রেখে মাঠেই নিজেদের কাজ সেরে ফেলেছে বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৩ মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের পাস থেকে মুর্শেদ আলী চমৎকারভাবে বল নিয়ন্ত্রণে এনে দুর্দান্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর মুর্শেদ নিজেই হয়ে ওঠেন গোলের রচয়িতা। ডান প্রান্ত থেকে তার বাড়ানো বলে ভুটানের রক্ষণভাগ ভুল করে বসে, আর সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সুমন সরেন বল জালে পাঠান।

আরো পড়ুন:

মায়ামিতে সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ পেলেন মেসি

ভারতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ

বিরতির পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভুটান। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ছিল অনেক বেশি গোছানো ও সতর্ক। মালদ্বীপ ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে কোনো বড় ভুল করেননি ডিফেন্ডাররা। শেষ মুহূর্তে আক্রমণভাগের সমন্বিত এক প্রচেষ্টায় আবারও উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন অধিনায়ক ফয়সাল। চূড়ান্ত মিনিটে তার গোলে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে।

আগামী ১৬ মে নির্ধারিত সেমিফাইনালে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত না হলেও অন্য গ্রুপ থেকে ভারত ও নেপাল সেমিতে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ