প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘‘ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক বাবা-মায়ের চেয়েও ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত। একজন শিক্ষার্থীর বিকাশে শিক্ষকের বিকল্প নেই।’’  

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ডা.

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘‘শিশুরা কতটুকু পড়াশোনা করছে এবং তারা স্কুল থেকে কতটা সুবিধা পাচ্ছে— তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায় না, বরং সামগ্রিক আচরণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

কুয়েটের শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ 

ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের সন্তানরা আক্ষরিক অর্থে বেশি শিক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু তারা যদি ভাবার্থ অনুধাবন না করতে পারে, তবে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হচ্ছে না। অনেক সময় দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী লিখতে পারলেও সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন শিক্ষক নেতৃত্বের প্রতীক। একটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের মান ও পরিবেশ তার ওপর নির্ভর করে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। সব ধরনের শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই আমাদের সন্তানেরা পূর্ণ বিকশিত হবে।’’

উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, ‘‘একজন শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন প্রধান শিক্ষক পুরো প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করেন এবং তিনিই একটি স্কুলকে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারেন।’’

সভায় সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট একজন শ ক ষ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল জাবি শাখা ছাত্রশিবির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

রবিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আর্থিকভাবে অসচ্ছল নবীন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেই এই বৃত্তি কার্যক্রম গ্রহণ করে জাবি শাখা ছাত্রশিবির। শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করে সংগঠনটি।

আরো পড়ুন:

জাবিতে বিনামূল্যে ছাত্রদলের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম  

ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হলেও শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি রাষ্ট্র। এমতাবস্থায় ছাত্রশিবিরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”

জাবি শাখা শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বাজেট রয়েছে শতকরা ১.৬৯ ভাগ। এমতাবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব না। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ সরবরাহ করা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “একটি জাতির অমূল্য রত্ন যুবসমাজ। আবু সাইদের মতো অসংখ্য যুবক জুলাইয়ে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ তাদের সৎ, যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার যথোপযুক্ত উদ্যোগ নেই। দিন শেষে আমাদের আত্ম-সমালোচনা করা প্রয়োজন। শিবিরের ব্যক্তিগত রিপোর্টে আত্ম-সমালোচনার একটি কলাম আছে। বিগত সময়ের প্রতিবন্ধকতাগুলো এখন অনেকটাই নিরসন হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবার কল্যাণে কাজ করতে হবে।”

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সততা, দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতার কারনে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে। সফলতার জন্য সৎ, দক্ষ, খোদাভীরু ও দেশপ্রেমিক হওয়া জরুরি। আমি চবির ছাত্র হিসেবে দেখেছি, ১৯৮৫ সালের চাকসু নির্বাচনে শিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছিল। তাদের প্যানেলে একজন অমুসলিম প্রার্থীও ছিল। সমাজকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে তারা শিক্ষাবৃত্তির আয়োজন করেছে। আমি আশা করছি তাদের এ কাজ আরো বেগবান হবে এবং শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা সমাধানে অগ্রগামী হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “ইসলাম প্রচারিত হয়েছে পৃথিবীর সেরা একজন রাজনীতিবিদের মাধ্যমে। হুদায়বিয়ার সন্ধি, মদিনা সনদ ইত্যাদি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সাক্ষী। ইসলামে ইনক্লুসিভিটিকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সুরা হুজরাতে সামাজিকতার কথা বলা হয়েছে। একজন মানুষ প্রকৃত মুসলিম হতে চাইলে সুন্দর আচরণ ও গুণের অধিকারী হতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের শেষ গন্তব্য হলো মালিকের বিচার। সেখানে পার পেতে হলে কুরআন অনুসরণের বিকল্প নেই। যত বেশি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা যায়, তত বেশি অমূল্য জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রীপুরে বনের জমি নিয়ে সংঘর্ষ, দায়ের কোপে একজনের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন
  • অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিচ্ছিলেন দুই মেয়ে, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একজনের
  • অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সরকারের শপথ, বিরোধী দলে প্রথম নারী নেতা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির সাজা কমল
  • ব্যথামুক্ত প্রসব কি সম্ভব
  • কোমরে ব্যথা হয় যে ৫ বদভ্যাসে
  • স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ৩২ আইন সংস্কারের প্রস্তাব
  • বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সীমা বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার
  • ৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল জাবি শাখা ছাত্রশিবির