সোনারগাঁয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 14th, May 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ পানি পরিকল্পনা বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রণমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বুধবার দিনব্যাপী সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।
সোনারগাঁ পৌরসভার সহযোগিতায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তররের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শেখ ফরিদ। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ বাবুল আখতার, সোনারগাঁ পৌর সচিব মাশরেকুল আলম, সোনারগাঁ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রক্যেশলী শাহিন আলম, জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম, সাংবাদিক ইমরান হোসেন, মো.
বক্তারা বলেন, পৌর এলাকায় সেপটিক ট্যাংক থেকে মানববর্জ্য খোলা ড্রেনে ফেলার কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা রোগাক্রান্ত হচ্ছে বেশি এর থেকে পরিত্রাণে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সামাজিক সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এক্ষেত্রে বর্জ্য শোধানাগার নির্মাণে সরকারকে জায়গা দিয়ে সহযোগিতা করা পৌরবাসীর দায়িত্ব। বর্জ্য শোধানাগার নির্মাণ করতে পারলে পৌরবাসী দূর্গন্ধমুক্ত, জীবাণুমুক্ত ও রোগমুক্ত জীবন যাপন করা সহজ হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ জনস ব স থ য স ন রগ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’