স্টেডিয়ামের পাশে গাড়িচাপায় আহত ১৩, কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল এস্পানিওল-বার্সা ম্যাচ
Published: 16th, May 2025 GMT
এস্পানিওল-বার্সেলোনা ম্যাচ শুরুর আগে আরসিডিই স্টেডিয়ামের পাশে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জনতাকে চাপা দেয়। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এতে কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল এস্পানিওল-বার্সা ম্যাচ। খবর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসের
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতালান পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ মনে করছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।
জানা গেছে, সাদা রঙের গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক নারী। গাড়িটি প্রথমে একটি মেয়েকে ধাক্কা দেয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা গাড়ি লক্ষ্য করে হাতের কাছে যা কিছু পেয়েছেন ছুঁড়ে মেরেছেন। এরপরই চালক গাড়ির গতি বাড়ান এবং তাতে দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চালককে আটক করেছে পুলিশ।
এস্পানিওলের পক্ষ থেকে স্টেডিয়ামের স্পিকারে ম্যাচের ৭ মিনিটে এই ঘটনা দর্শকদের জানিয়ে বলা হয়, ‘স্টেডিয়ামের বাইরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি এখন নিয়ন্ত্রণে। কেউ মারাত্মক আঘাত পাননি।’ এরপর কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল খেলা। রেফারি সোটো গ্রাদো এরপর দুই দল এবং কাতালান পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে খেলা পুনরায় শুরু করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’