আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না: ডিএমপি
Published: 20th, May 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে। আজ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি জানায়, গতকাল রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয়, ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন কিছু লোক। খবর পেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এবং মো.
পুলিশ আরও জানায়, কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হয়রানি করে বা ব্যক্তিস্বার্থে আইনের অপব্যবহার করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল, গুলি, মাদকসহ তিনজন আটক, একজন গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফের তুলাতলী ঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি, ৩০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে।
আটক তিনজন হলেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও আবদুল শুক্কুর (৪০)। তাঁদের মধ্যে আবদুল শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই একটি নৌকা দেখতে পেয়ে রাতে থামার সংকেত দেয় কোস্টগার্ড। এ সময় নৌকায় থাকা ব্যক্তিরা কোস্টগার্ডের দিকে গুলি ছুড়ে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কোস্টগার্ডও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালিয়ে নৌকাটিকে ধাওয়া করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর নৌকাটি জব্দ করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। নৌকা থেকে গুলিবিদ্ধ একজনসহ তিনজনকে আটক করা সম্ভব হলেও আরও চারজন সাগরে লাফ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে গেছেন। নৌকায় তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি ও ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক তিনজনই মাদক কারবারি। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সাঈদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গুলিবিদ্ধ শুক্কুরকে কোস্টগার্ড সদস্যরা হাসপাতালটিতে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পিঠে গুলিবিদ্ধ শুক্কুরের অবস্থা শঙ্কাজনক।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’