বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে মঙ্গলবার (২৭ মে) থেকে সারাদেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

সোমবার (২৬ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।

সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক তাদের আওতায়। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

গত ১৭ অক্টোবর দেশের ৬৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পরে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন নেতৃবৃন্দ।

তখন নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ শাটডাউন করার বিষয়টি পরিকল্পিত ছিল না। সকালে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাকে আটক করলে ক্ষুব্ধ অফিসাররা স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। এরপর মামলা ও ২০ জন কর্মকর্তাকে অব্যাহতির খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয়ভাবে সমিতির কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

এরপর কিছুদিন আন্দোলন বন্ধ থাকলেও ফের আন্দোলনে নেমেছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলছেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নের শঙ্কা

চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে ৮ দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে দেশজুড়ে তাদের কর্মবিরতি। তাদের এই আন্দোলনে গ্রাহক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবি। দেশের ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। 

সারাদেশে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৪৫ হাজার। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগসহ ৭ দফা দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে নানা সময়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন সমিতির কর্মীরা। এসব দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা। এ আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে।

চেয়ারম্যানকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে না সরালে অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফেরত 
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে চেয়ারম্যান অপসারিত না হলে অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল সমিতির সদরদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।

তারা বলছেন, ন্যায্য দাবির কথা বলতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৪০ জন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ছয় হাজারের বেশি কর্মীকে নিজ এলাকা থেকে দূরে বদলি করেছে আরইবি। এ ছাড়া সমিতির অন্তত ১৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বেশ কয়েক মাস পর তারা জামিন পেয়েছেন। মামলা-হয়রানির ভয়ে সমিতির অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

আন্দোলনকারীরা আরও বলছেন, হয়রানি আর আতঙ্ক নিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার সময় কর্মীদের প্রাণহানি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝিনাইদহের ৭০ হাজার পশু অন্য জেলায় বিক্রি করা হচ্ছে
  • চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত চাঁপাইনবাবগঞ্জে
  • সাগর উত্তাল, চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
  • পানি সংকটে হবিগঞ্জ পৌরবাসী
  • সংশ্লিষ্টদের কেন জবাবদিহি করা হবে না
  • পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলছেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নের শঙ্কা
  • রপ্তানি অর্থায়ন বৃদ্ধিতে বিজিবিএ ও এয়ার৮-এর মধ্যে সমঝোতা
  • এপ্রিল মাসে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন রপ্তানি বেড়েছে ৭৬%
  • মীনা বাজারে পাওয়া যাবে রিমার্কের পণ্য
  • সাভার-নবীনগরের কয়েকটি এলাকায় আজ ৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না