সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন
Published: 28th, May 2025 GMT
ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। সারজিস জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক। আজ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়।
এর আগে ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাস ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ উল্লেখ করে সারজিস আলমকে গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে সারজিস আলমকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশ গ্রহণের দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছেও তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেন নোটিশদাতা আইনজীবী।
নোটিশের জবাব পাননি জানিয়ে আজ বুধবার আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়েছে। হাইকোর্টে আগামী সপ্তাহে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।’
নোটিশের ভাষ্য, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়-ডিক্রি ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ। শুনানি শেষে গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাইকোর্ট ২২ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। ২২ মে রায় ঘোষণার পর আপনি (সারজিস আলম) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ১১টা ৪৯ মিনিটের দিকে ওই রায় নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া দেন। এই স্ট্যাটাস গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখিত মন্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। যা দেশের উচ্চ আদালত, যথা সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি মর্যাদাহানিকর ও আদালত অবমাননাকর।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩৬ জন
বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে ভারতে যাওয়া ৩৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই ৩৬ জনকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোনা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবি সমিতি এবং জাস্টিস ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা এই ৩৬ বাংলাদেশিকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করেছেন।
দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে তারা আটক হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত সমকালকে জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে ওই ৩৬ জন ভারতের কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুদেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ওই ৩৬ জন দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, ভারত ফেরত ৩৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে আমরা গ্রহণ করেছি। কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর মহিলা আইনজীবি সমিতি ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কাজ চলছে।