বন্দরে চোরাইকৃত মিশুকসহ চোর আটক, পুলিশে সোর্পদ
Published: 29th, May 2025 GMT
অজ্ঞাত স্থান থেকে মিশুক গাড়ী চুরি করে ব্যাটারী খোলার সময় স্থানীয় জনতা শাওন (২৪) নামে এক মিশুক চোরকে আটক করে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশে সোর্পদ করেছে।
ওই সময় স্থানীয় জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া খেয়ে আরো ৪ চোর প্রান রক্ষার্থে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃত চোর শাওন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার বেপারীপাড়াস্থ আমান মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া ও উক্ত এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিশং এলাকাস্থ একটি পরিত্যক্ত ডকইয়ার্ডের সামনে চোরাইকৃত গাড়ী ব্যাটারী খোলার সময় ওই চোরকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী তথ্যসূত্রে জানা গেছে, আটককৃত চোর শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনের একটি চোরদল অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি মিশুক গাড়ী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন যার মিশুক লাইসেন্স নং ১০৫২২ চুরি করে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিশং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডকইয়ার্ডে নিয়ে ব্যাটারী খোলার সময় স্থানীয় বাসিন্দা দ্বীন ইসলামের নজরে পরে।
পরে দ্বীন ইসলাম বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে ওই সময় স্থানীয় জনতা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চোরের দলদের ধাওয়া দিলে ওই সময় ৪ চোর পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেলেও অপার চোর শাওন জনতার হাতে ধরা পরে। পরে স্থানীয় জনতা চোরাইকৃত গাড়ী ও ব্যাটারীসহ আটককৃত চোরকে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত চোর মদনগঞ্জ ফাঁড়িতে আটক আছে। থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত চোরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সময় স থ ন য় স থ ন য় জনত আটকক ত চ র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।