`এটাই হয়ত আমার শেষ ম্যাচ`, ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে বিদায় জোকোভিচের
Published: 7th, June 2025 GMT
লাল সুরকির কোর্টে নিজের শেষ ম্যাচটা কী খেলেই ফেললেন নোভাক জোকোভিচ? উত্তরটা, হ্যাঁ। আবার না-ও। কেননা টেনিস বিশ্বের এক নম্বর তারকা যদি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে কোর্টে আবার তাকে দেখা যেতেও পারে। আপাতত ফ্রেঞ্চ ওপেনে সেমিফাইনাল থেকে তার বিদায়ঘণ্টা বেজেছে সেখানেই আলোচনা থাক।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে স্ট্রেট সেটে হেরেছেন জোকোভিচ। ইয়ানিক সিনারের কাছে ৪-৬, ৫-৭, ৬-৭ হেরে যান। দ্বিতীয় সেটে মেডিকেল ব্রেক নিয়ে একবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের গেমেই জোকোভিচের সার্ভিস 'ভেঙে দেন' ইয়ানিক। তারপর তৃতীয় সেটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুজনের। তবে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে ওঠেন ইয়ানিক।
হেরে বিদায় নেওয়ার সময় দর্শক গ্যালারিতে হাত নেড়ে শ্রদ্ধা জানান এই কিংবদন্তি। এরপর নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন, ‘‘এটা হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। আমি জানি না। তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম।’’
৩৮ বছর পেরিয়ে যাওয়া জোকোভিচ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভাগাভাগি করেছেন, ‘‘ইউএস ওপেন আর উইম্বলডন খেলব। এরপর পাকাপাকি অবসর নিব কিনা জানি না। আপাতত এটুকুই বলতে পারি।’’
২০২৩ সালে সবশেষ ইউএস ওপেন জিতেছিলেন জোকোভিচ। এরপর আর কোনও গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি । গত বছর উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে যান। পরে প্যারিস অলিম্পিকে আলকারাজকে হারিয়েই সোনা জিতেছিলেন।
টেনিস ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে, ৩টি। অপূর্ণতা কী থেকে গেল?
এদিকে জোকোভিচকে হারিয়ে মুখে হাসি থাকলেও কিংবদন্তিকে যথাযথ সম্মান করতে ভুল করেননি ইয়ানিক, ‘‘গ্র্যান্ড স্ল্যামের মতো মঞ্চে জোকোভিচের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামাটাই আমার কাছে একটা গর্বের ব্যাপার ছিল। অসাধারণ লেগেছে খেলতে পেরে। নিজের সেরা টেনিসটা খেলতে হয়েছে। জোকোভিচ দেখাল যে, কেন আমাদের মতো সব তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে ও আদর্শ। এই বয়সে ও যা করছে তাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। বাকি মৌসুমের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমরা ভাগ্যবান যে এখনও জোকোভিচকে এই উচ্চমানের টেনিস খেলতে দেখছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’